"বাম গণতান্ত্রিক জোটের গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান"
"গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান বাম গণতান্ত্রিক জোটের"
বাম গণতান্ত্রিক জোট আজ রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানান।
জোটের নেতারা আরও বলেন, এই লক্ষ্যে নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে হবে। বিশেষ করে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতির প্রবর্তনের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ।
বাম গণতান্ত্রিক জোট দেশের বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলার অভিযোগ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান চালুর দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে চলমান লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড, এবং নৈরাজ্যজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের কঠোরভাবে শাস্তি দিতে হবে। এর পাশাপাশি, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করার আহ্বান জানানো হয়। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে যথাযথভাবে পুনর্বাসন করার দাবি জানানো হয়। হতাহত ব্যক্তিদের প্রকৃত তালিকা দ্রুততম সময়ে প্রকাশের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপ এবং বলপ্রয়োগের ঘটনা কঠোর সমালোচনার দাবি রাখে। এ ক্ষেত্রে, গুলিবর্ষণের ক্ষমতা আইন করে বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া, চাঁদাবাজি ও দখলদারি বন্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত স্থাপনা ভাঙচুরকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন পদে দলীয় লোকদের নিয়োগ বন্ধ করে সৎ, দক্ষ, এবং পেশাদার ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, এবং বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান প্রমুখ।

Comments
Post a Comment